স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক ডক্টর মুহাম্মদ সোলায়মান গত ২৯মে মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেন।
ডক্টর সোলায়মান ২০০৭ সালে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্নে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করে পরবর্তীতে সহকারী অধ্যাপক এবং সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। শিক্ষা জীবনে সোলায়মান কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার খাড়াতাইয়া উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি ও ঢাকা কমার্স কলেজ হতে এইচএসসি পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে এমবিএ এবং বিবিএ মার্কেটিং বিভাগ হতে কৃতিত্বের সাথে শেষ করেন।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করে পরবর্তীতে ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া পারলিশ হতে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। তার উচ্চতর শিক্ষার বিষয়বস্তু ছিল গ্রিন মার্কেটিং। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সোলায়মান সহকারী প্রক্টর, নবাব ফয়জুন্নেসা হলের হাউস টিউটর এবং মার্কেটিং বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা, দুই মেয়াদে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ডক্টর সোলায়মান বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা এবং আন্তর্জাতিক জার্নালে নিয়মিত লেখালেখি করেন। এযাবৎকালে ৩০ এর অধিক আর্টিকেল বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়। তিনি উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির বিপণন উৎপাদন ব্যবস্থাপনা বইয়ের ও লেখক। নিয়মিতভাবে বিভিন্ন টকশো সহ বিভিন্ন মিডিয়ায় অর্থনীতি রাজনীতি ও সামাজিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
ডক্টর সোলায়মান শিক্ষকতার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথেও জড়িত আছেন। তিনি অর্গানাইজেশন ফর স্টুডেন্টস অ্যাডভান্সমেন্ট উষার সাবেক সভাপতি ছিলেন, কুমিল্লা ব্লাড ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা, খাড়াইয়া ফ্রেন্ডস ক্লাবের উপদেষ্টা, ভয়েস অর্গানাইজেশন এর উপদেষ্টা সহ অনেক সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন।
এছাড়াও তিনি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছেন। তিনি খাড়াতাইয়া ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসার সভাপতি, হাফিজিয়া মাদ্রাসা সভাপতি ও নিজ এলাকায় অবস্থিত ঈদগাহের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা সহ প্রতিষ্ঠায় তার অবদান অনেক। তার অধ্যাপক পদে পদোন্নতি হওয়ায় তিনি আল্লাহর নিকট শুকিয়ে জ্ঞাপন করেন এবং তার স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। ডক্টর সোলাইমানের পিতা মরহুম আব্দুল হাফিজ বিএসসি বুড়িচং আনন্দ পাইলট সরকারি স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছিলেন। একাধারে তিনি একজন ধর্মীয়, সামাজিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
ডক্টর মুহাম্মদ সোলায়মান পরিবারের সকলেই সমাজের অনুকরণীয় শিক্ষিত এবং মর্যাদার অধিকারী ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত রয়েছেন। ডক্টর সোলায়মান ব্যক্তিগত জীবনে তিন কন্যা সন্তানের জনক এবং তার স্ত্রী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যিনি অতিরিক্ত জেলা জজ হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। ডক্টর সোলায়মান বিভাগের সকল কার্যক্রম শিক্ষক ছাত্রদেরকে একসাথে করে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিশেষ করে বিভাগের প্রাক্তন ছাত্রদের প্রচেষ্টায় একটি সুন্দর অ্যালামনি গঠন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।দেশ ও জাতির সকলের নিকট তার উত্তর উত্তর সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে দোয়া চেয়েছেন।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page